
Please subscribe to our youtube channel no to click here....
সুলেইমান শাহ (উসমানীয় তুর্কি: سلیمان شاه; বর্তমান তুর্কী: Süleyman Şah[১]) ছিলেন অটোমান সামাজ্যের ঐতিহ্য অনুযায়ী কায়া আল্প এর পুত্র এবং আর্তগোল এর পিতা ছিলেন; যিনি অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমানের পিতা ছিলেন। যাহোক অটোমান সাম্রাজ্যর বংশবৃতান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ে সবাই একমত হননি। উসমানের পূর্বপুরুষদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হিসেবে সুলেইমান শাহের কথা উল্লেখ করতে অনেকে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে অবশ্য উসমান এবং সুলেইমান শাহের মধ্যে সম্পর্ক উপস্থাপনা করা হয়।[২] তার অন্যান্য সন্তানদের মধ্যে ছিলেন সারু যতি। বলা হয়ে থাকে যে, সিরিয়ায় ইউফ্রেটিস নদীতে সুলেমান শাহ পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন। কালত জাবর বা তার কাছাকাছি একটি অটোমান সমাধিস্থলে ঐতিহাসিকভাবে সুলেইমান শাহের সমাহিত করা হয়।
আরতুগ্রুল (উসমানীয় তুর্কি: ارطغرل; ১১৯১/১১৯৮, আহলাত – ১২৮১, সাগুত) যিনি আরতুগ্রুল গাজী নামে পরিচিত ছিলেন।উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান প্রথম উসমানের পিতা। তিনি অঘুজ তুর্কিদের কায়ি গোত্রের নেতা ছিলেন। বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে রোমের সেলজুকদের সাহায্যার্থে আরতুগরুল মার্ভ থেকে আনাতোলিয়ায় আসেন।[২] এ সময় তিনি বেশ কিছু ধারাবাহিক ঘটনার মাধ্যমে তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্য সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দেন। তার ছেলে প্রথম উসমান এবং ভবিষ্যৎ বংশধরদের মত তাকেও গাজী উপাধিতে সম্বোধন করা হয়[৩], যা দ্বারা ইসলামের জন্য লড়াই করা বীর যোদ্ধাদের বোঝায়।
প্রথম কায়কোবাদ বা সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ বিন কায়কোবাজ। (১১৮৮-১২৩৭) ছিলেন রোমে সেলজুক সুলতান যিনি ১২২০ থেকে ১২৩৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তিনি তার প্রতিবেশী বিশেষত মেনগুজেক বেইলিক এবং আইয়ুবীদের ব্যয়ে সুলতানের সীমানা প্রসারিত করেছিলেন এবং কালোন ওরস বন্দর অধিগ্রহণের সাথে ভূমধ্যসাগরে একটি সেলজু উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, পরে তার সম্মানে আল'ইয়া নামকরণ করা হয়। সুলতান, কখনও কখনও স্টাইল্ড "কায়কাবাদ দ্য গ্রেট", তাঁর সমৃদ্ধ স্থাপত্যীয় উত্তরাধিকার এবং তাঁর রাজত্বকালে উন্নত উজ্জ্বল আদালত সংস্কৃতির জন্য আজো তাকে স্মরণ করা হয়। কায়ক্বাদের রাজত্ব আনাতোলিয়ায় সেলযুক রাজবংশ শক্তি ও প্রভাবের অপূর্ব প্রতিনিধিত্ব করেছিল এবং কায়কোবাদ নিজে রাজবংশের সর্বাধিক বিশিষ্ট রাজকুমার হিসাবে বিবেচিত হয়েছিলেন। ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মঙ্গোল আগ্রাসনের পরবর্তী সময়ে, আনাতোলীয় বাসিন্দারা প্রায়শই তার রাজত্বকে সোনার যুগ হিসাবে প্রত্যাখান করে যখন আনাতোলীয়ান বেইলিকদের নতুন শাসকরা তাকে সনাক্ত করা বংশের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব কর্তৃত্বকে ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টা করেছিল।
তুরগুত আল্প (১২০০ - ১৩২৩) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রাথমিক গাজী বা যোদ্ধা । তিনি এরতুউরুল গাজী এবং তার ছেলে ওসমান গাজীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন। এমনকি তিনি তাঁর জীবদ্দশায় ওসমান গাজীর পুত্র ওরহান গাজীর সেবা করেছিলেন। মৃত্যু ১৩২৩ খ্রিস্টাব্দে ১২৫ বছর বয়সে এই বীর যোদ্ধা ইনেগুলে মৃত্যুবরণ করেন। তার সমাধিটি তুরস্কের আঙ্গেল, তুরগুট আল্প (জেনসি) গ্রামের কবরস্থানে অবস্থিত। এরতুগ্রুল গাজীর মাজারের বাইরে কবরটি সম্মানের সমাধি। কিন্তু সেখানে বিশ্রামের জায়গা নয়।
ইবনুল আরাবী (আরবি: ابن عربي, ইংরেজি: Ibn Arabi) (২৮ জুলাই, ১১৬৫ – ১০ নভেম্বর, ১২৪০) ছিলেন একজন আরব সুফি সাধক লেখক ও দার্শনিক।[৩] সুফিতত্ত্বে তার অনবদ্য অবদানের কারণে তিনি শেখ আল আকবর মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী নামেই সমধিক পরিচিত। আন্দালুসিয়া বা বর্তমান স্পেনের মূর্সিয়া নগরীতে জন্ম গ্রহণ করায় তাকে আন্দালুসি ও আল-মূর্সি বলা হয়। তাছাড়া তিনি দামেস্কে মৃত্যু বরণ করায় ডাকা হয় দামেস্কি। অন্যদিকে ইমেনের প্রসিদ্ধ দাতা হাতেমতাই তার পূর্বপুরুষ হওয়ায় আল-হাতেমী এবং আল-তাই উপনামেও তার প্রসিদ্ধি রয়েছে।
হালিমা হাতুন (উসমানীয় তুর্কি: حلیمه خاتون) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা আর্তগোলের স্ত্রী এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম সুলতান উসমানের মাতা। এছাড়াও তিনি সেলজুক সাম্রাজ্যের শাহজাদা নোমানের কন্যা।
গুন্দুজ আল্প কায়ি গোত্রের আরতুগ্রুল গাজীর প্রথম ছেলে এবং উসমানীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা উসমানের ভাই।[১] তুরস্কের টিভি সিরিজ কুরুলুস: উসমান ধারাবাহিকে গুন্দুজ আল্প হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এমরে বাসালাক। এটা আরও সম্ভব যে গুন্দুজ আল্প ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকারী কায়ী বসতির প্রধান ও সীমান্তের সুলতান হিসেবে পরিচিত আরতুগ্রুল গাজী এর প্রথম সন্তান।[২][৩] তার দাদা ছিলেন সোলাইমান শাহ। এবং তার পিতামোহ ছিলেন কায়া আল্প।